1. mahamudreja02@gmail.com : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  2. presssoliman06@gmail.com : naim :
  3. dailynewsbangla756@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ডেইলি নিউজ বাংলা ২৪ এ সারাদেশে জেলা ও উপজেলা, ক্যাম্পাস, ব্যুরো প্রধান  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যোগাযোগঃ-01606638418,+6585413954।
শিরোনাম
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে কালীগঞ্জে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত কবিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রদলের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত শ্রীবরদীতে আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৯বিজিবি’র দায়িত্বাধীন খড়কপুর ও সুরানপুর বিওপি’র উদ্বোধন প্রতারণা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি নলছিটিতে গ্রেফতার সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক হেলপার নিহত: শোকের ছায়া এলাকাজুড়ে আশুলিয়ায় খালেদা জিয়াকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার মসজিদের ইমাম গ্রেপ্তার জয়পুরহাটে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপশাখা প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে নাগরপুরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি  উদ্বোধনের অপেক্ষায়

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১১৮ বার

 

মো. রনি ধনবাড়ী টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ অথবা আগামি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে যমুনা নদীর ওপর নির্মাণাধীন রেলসেতুর উদ্বোধন করা হবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানায়, যমুনা সেতু পূর্ব ও পশ্চিম রেল স্টেশনে শুরু থেকে কম্পিউটার ভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় সংকেত ব্যবস্থা বা কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলিঙ্ক সিস্টেম (সিবিআইএস) চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে প্রথম দিকে সেতুতে পূর্ণগতি অর্থাৎ ১২০ কিলোমিটার বেগ পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গড়িমসি এবং ভারত থেকে প্রযুক্তিপণ্য আমদানিতে জটিলতার কারণে সেতুর দুই পাশের স্টেশনে শুরু থেকে সিবিআইএস চালু করা যাচ্ছে না। ফলে এ সময়টাতে ট্রেনের গতি অনেক কম থাকবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগামি বছরের মার্চ মাসের মধ্যে সিবিআইএস চালু করা সম্ভব হবে।

রেল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, যমুনা বহুমুখী সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে সমান্তরাল ভাবে নির্মাণাধীন প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতুর জন্য সাড়ে ৭ কিলোমিটারের বেশি রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।

রেলওয়ের তথ্যমতে, বর্তমানে যমুনার ওপর নির্মিত যমুনা বহুমুখী সেতুতে যে মিটারগেজ রেললাইন রয়েছে- তাতে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৭০ কিলো-নিউটন/মিটার ওজন বহন করা সম্ভব। তাই ট্রেনে বেশি বগি যুক্ত করার সুযোগ নেই। এছাড়া এক লাইনের সীমাবদ্ধতা থাকায় বেশি ট্রেন চালানোও সম্ভব নয়।

প্রকল্প কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ডব্লিউডি-১ ও ডব্লিউডি-২ নামে দুটি প্যাকেজে পাঁচটি জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। সেতুর উভয় প্রান্তের দুই স্টেশনে ডব্লিউডি-৩ নামে অপর একটি প্যাকেজের আওতায় সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ করা হচ্ছে। সিবিআইএস চালু করার কাজে জাপানি বহুজাতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান হিটাচির সহায়তা নিচ্ছে রেলওয়ে। ভারতে হিটাচির পণ্য উৎপাদন কারখানা থাকায় জাপানি ঠিকাদাররা সেখান থেকেই পণ্য আমদানি করছিলেন। ঠিকাদাররা সম্প্রতি সেখান থেকে পণ্য আমদানি করতে কিছু জটিলতায় পড়েছেন। প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর ওই জটিলতা নিরসনে রেলওয়ে ঠিকাদারদের তাগিদ দেওয়া অব্যাহত রেখেছে।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর রেল সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান জানান, নতুন এই রেলসেতু দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও সিবিআইএসের কাজের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৪০-৪২ শতাংশ। সেতু উদ্বোধন হওয়ার পরে এ পদ্ধতি চালু করতে আরও দু-তিন মাস লাগতে পারে।

তিনি আরও জানান, এছাড়া সিগন্যাল সিস্টেম সাধারণত স্টেশনে থাকে, সেতুতে থাকে না। তাই গতি পেতে তেমন কোন সমস্যা হবে না। আগামি মার্চ মাসের শেষ দিকে কম্পিউটার ভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় সংকেত ব্যবস্থা বা কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলিঙ্ক সিস্টেম (সিবিআইএস) চালু করা সম্ভব হবে। আপাতত প্রথাগত নন-ইন্টারলিঙ্ক ব্যবস্থায় ট্রেন চালাতে হবে।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক স্বয়ংক্রিয় সংকেত ব্যবস্থা চালু না হলে ট্রেনের গতি কমে সময়ের অপচয় হওয়া ছাড়াও নিরাপত্তার দিকে ঘাটতি থাকবে। এ থেকে জটের আশঙ্কাও রয়েছে।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান জানান, কম্পিউটার ভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় সংকেত ব্যবস্থা বা কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলিঙ্ক সিস্টেম (সিবিআইএস) চালু না হলে পশ্চিমাঞ্চলের রেলপথে নিরাপত্তাগত শঙ্কা থেকে যাবে।

তিনি জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের শুরুতে সিগন্যাল সিস্টেমের ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত ছিল। যে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ট্রেনের গতি বাড়িয়ে শিডিউল বিপর্যয় কমানো। সেখানে নন-ইন্টারলিঙ্ক সিস্টেম চালু থাকলে যাত্রীসেবার মান বিন্দুমাত্র বাড়বে না। এতে রেলপথে যাত্রী ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।

রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, সিবিআইএস চালুর বিষয়টি প্রকল্প পরিচালক ভালো বলতে পারবেন। তবে এটা সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। দেরি হলেও ১৫ দিন থেকে ১ মাসের বেশি সময় লাগবেনা।

রেলসেতুর উদ্বোধনের পর এ রুটে নতুন ট্রেন যুক্ত করা হবে কি না জানতে চাইলে মহাপরিচালক আরও বলেন, ঢাকার সঙ্গে ওই অঞ্চলে নতুন ট্রেন যুক্ত করা কঠিন হয়ে যাবে। থার্ড বা ফোর্থ লাইন চালু না হলে নতুন ট্রেনের ক্যাপাসিটি তৈরি হবে না। নতুন ট্রেন এলেও জয়দেবপুর বা টঙ্গী পর্যন্ত চালানো যেতে পারে। এতে পুরোপুরি সুফল আসবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Archive Calendar

এপ্রিল ২০২৫
সোম মঙ্গল বুধ বৃহঃ শুক্র শনি রবি
« মার্চ    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
 

©All rights reserved © Daily newsbangla24.