স্টাফ রির্পোটার:
কুরআন নাজিলের মাস পবিত্র রমাদান আমাদের নিকট থেকে বিদায় নিচ্ছে। মানুষের মাঝে আল্লাহর ভয় তথা তাকওয়ার গুণাবলি সৃষ্টির মাধ্যমে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আল্লাহর বিধান মেনে চলার দীর্ঘ প্রশিক্ষণ শেষে আমাদের মাঝে আগমন করছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মাসব্যাপী সিয়াম পালনের পর পবিত্র ঈদুল ফিতর মুসলমানদের জীবনে শান্তি ও আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে। পবিত্র ঈদুল ফিতর ধনী-গরীব সব শ্রেণির মুসলমানদের মধ্যে নিবিড় ভাতৃত্ববোধ জাগ্রত করে।
তিনি আরো বলেন, পবিত্র ঈদের এই দিনে আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে মানুষে মানুষে দয়া, সৌভ্রাতৃত্ব, সাম্য, ঐক্য ও ভালোবাসার এক মহা সেতুবন্ধন তৈরি করি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে একটি হিংসা ও বিদ্বেষমুক্ত সমাজ গঠনে তৎপর হই এবং সমাজের অবহেলিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসি ও একে অপরের সুখানন্দ এবং দুঃখ-কষ্ট ভাগ করে নিই।
ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানির কোনও স্থান নেই। মানবিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক সহাবস্থান, পরমতসহিষ্ণুতা ও সাম্যসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মূলবন্ধন পরিব্যক্তি লাভ করুক—এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা।
সকলের জীবনে বয়ে আনুক ঈদের খুশী, দূর হউক সকল কুলশতা ও জটিলতা। আল্লাহ সবাইকে মাফ করুন, হেফাজত করুন-আমিন।
Leave a Reply