গোলাম আলী নাইম- ঢাকা বিশেষ প্রতিনিধি:
রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদ্রাসা রাজারবাগ দরবার শরীফ ঢাকা,
বছরের পর বছর উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তার মুবারক ইমামতিতে দেশের সর্বপ্রথম ঈদুল ফিতরের নামাযের জামায়াত সুন্নতী জামে মসজিদে, সুন্নতী ওয়াক্ত মুতাবিক সকাল ৬:৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
এমনটি জানিয়েছে তাদের একমাত্র মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যম দৈনিক আল ইহসান পত্রিকায়।
সংবাদটিতে আরো বলা হয়েছে,
পবিত্র ঈদের নামায আদায় সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে যে, রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র ঈদের দিন ফজরের নামায পড়ে হুজরা শরীফ যেতেন এবং সকাল সকাল গোসল করে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন হলে বেজোড় সংখ্যক (৩, ৫ বা ৭টি) খুরমা খেজুর খেয়ে ঈদগাহে যেতেন। আর পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিন হলে কিছু না খেয়ে সরাসরি ঈদগাহে যেতেন এবং পবিত্র ঈদের নামাযের ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে পবিত্র ঈদের নামায আদায় করতেন। অতঃপর খুতবা মুবারক দিতেন ও নছীহত মুবারক করতেন।
রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আদেশ মুবারক করেছেন পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার নামায খুব সকাল সকাল পড়বেন এবং পবিত্র ঈদুল ফিতর উনার নামায ঈদুল আদ্বহা উনার চেয়ে অল্প একটু দেরিতে পড়বেন এবং নামাযের পরে মানুষকে নছীহত করবেন।
সূর্য পূর্ণভাবে উদিত হওয়ার পর অর্থাৎ মাকরূহ ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর থেকে অথবা সূর্য উদয়ের শুরু থেকে ঘড়ির মিনিট অনুযায়ী ২৩ মিনিট পর পবিত্র ঈদের নামাযের ওয়াক্ত শুরু হয়। সহজ কথায় ইশরাকের ওয়াক্তে ঈদের নামাযের ওয়াক্ত আর যোহর নামাযের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার ১ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত পবিত্র ঈদ উনার নামাযের ওয়াক্ত থাকে; তারপর মাকরূহ ওয়াক্ত শুরু হয়। সেই মাকরূহ ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্বে পবিত্র ঈদের নামায আদায় করতে হবে। মাকরূহ ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর পবিত্র ঈদের নামায আদায় করলে তা আদায় হবে না। কাজেই পবিত্র ঈদের নামায সকাল সকাল পড়া সুন্নত। পবিত্র ঈদের নামাযের সম্মানার্থে এবং পবিত্র ঈদের নামায যাতে আদায়ে দেরি না হয়, সে জন্য পবিত্র ঈদের দিন ইশরাকসহ অন্যান্য সকল নফল নামাযসহ সমস্ত নফল ইবাদত করা মাকরূহে তাহরিমী।
পবিত্র হাদীছ শরীফের মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, যে ব্যক্তি কোনো হক্কানী ওলীআল্লাহ উনার পিছনে নামায আদায় করলো, সে যেন রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিছনে নামায পড়লো। আর যে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিছনে নামায আদায় করলো তাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমা করে দিবেন।”
পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার পক্ষ থেকে, তাদের একমাত্র মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যমে দ্বীনদার মুসলমানগণকে উক্ত জামায়াতে শামিল হওয়ার জন্য আহবান জানানো হয়েছে।
বলাবাহুল্য যে, পবিত্র ঈদের দিন মুয়ানাকা ও মুসাফাহা করা পবিত্র সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। ছোঁয়াচে মনে করে মুয়ানাকা ও মুসাফাহা করা হতে বিরত থাকা এবং নিরুৎসাহিত করা কুফরী।
এমনটি বলা হয়ছে তাদের একমাত্র মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যমে।
Leave a Reply