1. dailynewsbangla756@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ডেইলি নিউজ বাংলা ২৪ এ সারাদেশে জেলা ও উপজেলা, ক্যাম্পাস, ব্যুরো প্রধান  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যোগাযোগঃ-01606638418.
শিরোনাম
আপন শক্তিতেই পথচলা: নাগরপুরে রাস্তা বানালেন এলাকাবাসী, সহযাত্রী ইসলামী ছাত্রশিবির” ডিগ্রি ছাড়াই ডাক্তার সেজে প্রতারণা, নাগরপুরে জরিমানা ১ লাখ বিএনপি বনাম জামায়াত: দিনাজপুর-৬ আসনে ফের উত্তাপ ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা যথাসময়ে তুলে নিবে ট্রাম্প সচিবালয়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা  মাদ্রাসা থেকে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়: অধ্যাপক ইমরান আনসারীকে সংবর্ধনা”  যশোর শার্শা কায়বে এলাকা থেকে ৩০ বোতল ফেনসিডিল সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার তিতাস গ্যাসের ব্যাপক অভিযান: অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে শত শত বাড়ি ও কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ কালীগঞ্জে প্রধান শিক্ষক বাবলুর বিরুদ্ধে এক শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানি সহ নানা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

ভারতীয় ৮ ধরনের আগ্রাসনের কিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালো ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫৭৫ বার

গোলাম আলী নাইম, ঢাকা বিশেষ প্রতিনিধি:

আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের উপরে ভারত সবসময়ই তার হিংসাত্নক আগ্রাসন চালানোর অপচেষ্টা করেই যাচ্ছে। ভারতের আগ্রাসী ভূমিকা দেথে মনে হয় ভারত বাংলাদেশকে তার অঙ্গরাজ্য করতে চাচ্ছে। আমরা বাঙালী মুসলমান। আমরা কখনই কারো কাছে মাথা নত করিনা। আর ভারতকে কখনই আমরা শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে দিবোনা। ভারতের দাদাগিরি দেখার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। ভারতের উচিত অবিলম্বে বাংলাদেশবিরোধী অপতৎপরতা ও অপপ্রচার বন্ধ করা। ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশন, উপহাইকমিশনসহ সব কূটনৈতিক স্থাপনায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। ভারত মুসলমানদের ঈমানকে উত্তেজিত করার জন্য সবসময়ই ইসলাম ও মুসলিম বিরোধী অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা ভারতের ৮ ধরণের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আজ বা’দ আছর রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে ফালইয়াফরাহু চত্ত্বরে এক সাংবাদিক সমাবেশে প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রতিবাদের বিষয়গুলো হলো:

১. ভারতে কথিত ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ বই বিক্রি বন্ধ করতে হবে। মুসলিম বিশ্বের কঠোর আপত্তির মুখে নাস্তিক কাট্টা কাফির অপন্যাসিক সালমান রুশদির ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ ভারত ও বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশে নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৮৮ সালে তৎকালীন রাজীব সরকার ভারতে এই বই বিক্রি নিষিদ্ধ করে। তবে এখন আবার বইটি কিছু বইয়ের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। এটি মুসলমানদের ঈমানী অনুভূতিকে কঠিনভাবে আঘাত করেছে। কুখ্যাত যোগী রামগিরি আমাদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় নবীজী নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে মানহানি করেছিলো। সারা পৃথিবীতে এর প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু ভারতের মোদী সরকার এখনও তার শাস্তি দেয়নি। ভারতকে অবশ্যই অতি দ্রুত স্যাটানিক ভার্সেস বই বিক্রি বন্ধ করতে হবে এবং কুলাঙ্গার রামগিরিকে শাস্তি দিতে হবে। নইলে বাংলাদশের মুসলিম জনতা অবশ্যই ভারতের এই নিন্দিত কাজের সমুচিত জবাব দিবে ইনশা আল্লাহ।

২. ভারতে মসজিদ, মাদ্রাসা ও মাজার শরীফ ভাঙ্গা বন্ধ করতে হবে। ভারতে কল্প কাহিনীর অজুহাতে কথিত দেব দেবীর মন্দির এর ভূয়া অজুহাতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে মসজিদ, মাদরাসা, মাজার শরীফ ভাঙ্গছে উগ্র হিন্দু জালিমরা। বাবরি মসজিদ, জ্ঞানবাপী মসজিদ, সম্ভল মসজিদের মত অনেক ঐতিহাসিক মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভারতকে অবশ্যই এই সব অপকর্ম বন্ধ করতে হবে এবং যেসব মসজিদ-মাদরাসা-মাজার শরীফ ভেঙেছে সেগুলো পুননির্মাণ করে মুসলমানদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে। নইলে হিন্দুদের মন্দিরগুলোও হুমকির মুখে থাকবে।

৩. বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত ‘উর্দিতে বাঙালি গণহত্যার রক্তের ছিটে! ৫৩ বছর পর বাংলাদেশে ফিরছে সেই পরাজিত পাক ফৌজ’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদারিত্ব, নিরপেক্ষতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নীতিতে অটল। নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ছাত্র বিনিময় ও প্রশিক্ষণসহ বিবিধ সহযোগিতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে। এছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সংগ্রহ করে। এটা বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর পছন্দের স্বাধীনতা। ভারতকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী নিয়ে অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশ সেনাবহিনীর অব্যন্তরীন বিষয়ে নাক গলানোর অপচেষ্টা ভারতকে বাদ দিতে হবে।

৪. বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারত বারবার আশ্বাস দিলেও সেটার বাস্তবায়ন হয়নি। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে ও নির্যাতনে অন্তত ৬০৭ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অধিকার নামের একটি মানবাধিকার সংস্থার মতে, ২০০৯ থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বিএসএফ সদস্যদের হাতে অন্তত ৫৮২ বাংলাদেশি নিহত এবং ৭৬১ জন আহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী শূন্যরেখা থেকে দেড় শ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যায় না। লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম সীমান্তে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে বিএসএফের বিরুদ্ধে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অভিযোগ উঠলে বিজিবি বাধা দেয়। ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে ১৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ভারত সীমান্তে কুপিয়ে ও পিটুনিতে তিন বাংলাদেশি যুবককে শহীদ করা হয়েছে। ভারতে এই সব সন্ত্রাসী কাজ বন্ধ করতে হবে। নইলে বাংলাদেশকেও তার পাল্টা জবাব দিতে হবে।

৫. বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় অপ্রচার বন্ধ করো। ভারত সবসময়

বাংলাদেশকে নিয়ে মিডিয়ায় ভুল তথ্য দিয়ে যাচ্ছে। ভারতের এই মিডিয়া সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।

৬. বাংলাদেশের অপরাধী তসলিমাকে গ্রেফতার করে ফেরত দিতে হবে। সে বাংলাদেশের দাগী এবং দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী। তসলিমা নাসরিনকে অবশ্যই বাংলাদেশের কাছে ফেরত দিতে হবে এবং অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই তাকে ফাঁসি দিতে হবে।

৭. ভারত থেকে সর্বপ্রকার আমদানি বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের সব কিছু বাংলাদেশেই উৎপদিত হয়ে থাকে। তাই ভারত তেকে কোন কিছু আমদানির প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত চাল উৎপাদিত হওয়ার পরও ভারত তথেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে দেশের টাকা ভারতে পাচারের জন্য। জনগণকে ধোকা দিয়ে এই ধরণের কোনো কিছুই ভারত বা অন্য কোনো দেশ থেকে আমদানির প্রয়োজন নেই।

৮. ভারতের গরু জবাইয়ের উপর সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। আসামে বা অন্য কোন স্থানে গরু জবাই এবং গরুর গোস্ত খাওয়ার উপরে কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা রাখা যাবেনা। এটা মুসলমানদের দ্বীনী অধিকার। গরুর গোস্ত খাওয়া এবং গরু কুরবানী করা ইসলামের শেয়ার বা নিদর্শন। ভারতের আসামের বিধানসভায় ‘অসম ক্যাটল প্রিজারভেশন বিল ২০২১’ বা গো-সংরক্ষণ বিল পাস হয়েছে মুসলমানদের সঙ্গে সংঘাত বৃদ্ধির জন্য। গোটা বিশ্বে দ্বিতীয় গরুর গোস্ত রফতানিকারক দেশ হচ্ছে ভারত। অথচ গরুর গোস্ত খাওয়ার মিথ্যা অজুহাতে বারতে মুসলমানকে পিটিয়ে শহীদ করা হয়। ভারতকে অবশ্যই গরুর গোস্ত খাওয়ার জন্য মুসলমানদের প্রতি এই বৈষম্যমূলক আচরণ পরিহার করতে হবে। মুসলমানদেরকে গরু কুরবানী করা এবং গরুর গোস্ত খাওয়ার অধিকার দিতে হবে। নতুবা গরু কুরবানীকে কেন্দ্র করেই ভারতে কেঠিন গৃহযুদ্ধের সূচনা হবে এবং এতে ভারতের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Archive Calendar

জুলাই ২০২৫
সোম মঙ্গল বুধ বৃহঃ শুক্র শনি রবি
« জুন    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
 

©All rights reserved © Daily newsbangla24.