ডেক্স রিপোর্ট:
টাংগাইল জেলা প্রানকেন্দ্র অবস্হিত ঐতিহ্যবাহী দুয়াজানী কলেজ পাড়ার গর্বিত সন্তান বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও হোমিও অনুরাগী মরহুম আইয়ূব আলীর ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।তিনি গত ৩১ অক্টোবর, রোজ-রবিবার ২০১০ খ্রি.সকালে নিজ বাসভবনে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন, ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন। তিনি দীর্ঘদিন আঘাতজনিত রোগে ভুগছিলেন।মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল আনুমানিক-১০৫ বছর।
মরহুম আইয়ূব আলীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:–
জন্ম ও কর্ম জীবন: আনুমানিক ১৯০০ সালের আগে দুয়াজানী কলেজ পাড়া, নাগরপুর, টাংগাইলে জম্মগ্রহন করেন।পিতার নাম:- বজু বেপাড়ী। তিনি কৃষি মন্ত্রালয় অধীনে উপজেলা কৃষি অফিসের অবসরপ্রাপ্ত চর্তুথ শ্রেনীর কর্মচারী ছিলেন। পড়াশোনা:-একাডেমীক শিক্ষা স্তর জানা যায় নি। তবে তিনি সুন্দর করে স্বাক্ষর ও নাম লেখতে জানতেন। আর চশমা ছাড়া সকল প্রকার কিতাব অন্যান্য বই পুস্তক,পেপার পত্রিকা পড়তেন। তিনি কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ছিলেন না তবে সকল বিষয়ে ভাল ধারনা ও জ্ঞান ছিল।
পারিবারিক জীবন: তার স্ত্রী বেগম রোকেয়া ২০১৫ সালে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে বিদায় নিয়েছেন।তিনি ৫ সন্তান ও ২ কন্যার জনক। তিন সন্তান দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন।মরহুম আইয়ূব আলী মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দুয়াজানী কলেজ পাড়া জামে মসজিদের সভাপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক ধার্মীক, সৎ,ভদ্র, আল্লাহভীরু। আল্লাহ ইবাদত ই ছিল তার প্রধান কাজ। তিনি কখনো কারো সাথে খারাপ আচরন করেনি। তার সাথে নাগরপুরের আলেম ও শিক্ষিত মানুষের সাথে গভীর সম্পর্ক ছিল।মরহুম আইয়ূব আলী ছিলেন একজন হোমিও অনুরাগী। তিনি সহ তার আত্বীয় স্বজনের কোন রোগ হলে প্রথমে হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন খাওয়ার পরামর্শ দিতেন। নাগরপুরের বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথদের সাথে তার গভীর যোগাযোগ ও সম্পর্ক ছিল।মরহুম আইয়ূব আলীর রুহের মাগফেরাত ও শান্তির জন্য পরিবার ও মুকতাদির হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে সপ্তাহ ব্যাপি বিশেষ দোয়া মাহফিলসহ ধারাবাহিক বিভিন্ন কর্মসৃচী পালিত হবে,ইনশাআল্লাহ
সপ্তাহ ব্যাপি কর্মসৃচী পালন বিষয়ে জানতে চাইলে আইয়ূব আলীর নাতি ও আইয়ূব আলী ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক ডা.এম.এ.মান্নান বলেন-আমার দাদা মরহুম আইয়ূব আলী ছিলেন একজন খাঁটি ইমানদার ও পরহেজগার মানুষ। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইসলামী দাওয়াত সকল মানুষের কাছে পৌছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। তিনি নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামায জামাতের সহিত আদায় সহ নিয়মিত তাহাজ্জত ও অন্যন্য প্রয়োজনীয় আমল করতেন। তিনি নিয়মিত ফজর নামায আদায় করতেন সকালে গোসলের মাধ্যমে যা নাগরপুর বাসী এখনো বলে। অনেকেই বলে মান্নান তোমার দাদা যত শীত আসুক বা বন্যার পানি দিয়ে সারা গ্রাম ভরে যাক তবুও সকালে গোসল করবে তারপর মসজিদে গিয়ে ফজর নামায জামাতের সহিত আদায় করতেন।আমরাও তাই দেখছি। দাদা সব সময় অসহায় মানুষকে নিয়ে ভাবতেন তাদের পাশে দাড়াতেন। আমার নিজস্ব উদ্যোগে আমার সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসমূহ আমার দাদার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নানান কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালন করবে তারই অংশ হিসাবে নাগরপুরে অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ সহ ফ্রি ব্লাড গ্লুপিং ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ কার্মসৃচী পালন করা হবে।বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব মুকতাদির হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্যোগে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। সবাই কাছে আমার দাদা দাদির জন্য দোয়া চাই। মহান আল্লাহ যেন আমার দাদ দাদিকে জান্নাত নসিব করেন,আমিন।
Leave a Reply