মামুন রাফী – স্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালী হাতিয়ায় অপারেশন ডেভিল হান্টে সঞ্জয় চন্দ্র দাস নামে এক আওয়ামী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। তাকে ছাড়াতে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী থানায় হট্টগোল করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল (১৬ ফেব্রুয়ারী) রাতে হাতিয়া উপজেলার তমরদ্দি ৪নং ওয়ার্ড কোরালিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সঞ্জয় চন্দ্র দাস উপজেলার তমরদ্দি ৪নং ওয়ার্ড কোরালিয়া গ্রামের দয়াল হরীর ছেলে। তার অত্যাচারে সবসময় আতঙ্কে থাকতো এলাকার সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়রা জানায়, সে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী এবং তার পিএস গোপী মজুমদার কনকের ঘনিষ্ট লোক। এর সুবাধে সে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। বিভিন্ন চর থেকে বাহিনী আনা, বনের হরিণ নিধন করে মাংস বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা, চোরাই গরু মনপুরা, স্বন্দীপ, ভোলা ও ভয়ারচরে বিক্রি করতো। তার নেতৃত্বে একাধিক লোক গিয়ে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর বাসা থেকে ছাত্র-জনতার উপরে গুলি ও হামলা করার অভিযোগ ও রয়েছে। এমনকি ৫ আগষ্টের পর সাবেক এমপির পিএস গোপী মজুমদার কনক ও তার ভাই কৃষ্ণ মজুমদারকে হাতিয়া থেকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন এই সন্ত্রাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপির নেতা জানান, সরকার পতনের পর সে বিএনপির কিছু নেতাদের আশ্রয়ে এসে তার আগের প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছিল। হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি নিজাম চৌধুরী ও তমরদ্দি ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহিরুল ইসলাম সহ অনেকে তাকে আটকের পর থানা থেকে ছাড়াতে তদবির শুরু করেন। এক পর্যায়ে নেতা কর্মীদের মাঝে হট্টগোল শুরু হয়।
হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি নিজাম চৌধুরী বলেন, আমি থানায় গিয়েছি অন্যকাজে। এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা জানান, নেতাদের ফোন আসবে এটা স্বাভাবিক, তবে কোন সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবেনা। অপারেশন ডেভিল হান্টে হাতিয়ায় নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply