মঞ্জুরুল ইসলাম, লংগদু রাঙামাটিঃ
সারাদেশব্যাপী ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন এর বিরুদ্ধে এবং ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে ধর্ষকের দ্রুত ফাঁসির দাবিতে ও মাগুরা জেলার আলোচিত শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ সহ সারাদেশ ব্যাপী ধর্ষণ, খুন ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে রাঙামাটি লংগদু উপজেলার গুলশাখালি ইউনিয়নে জনসাধারণের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১১ মার্চ মঙ্গলবার বিকাল তিন ঘটিকার সময় রাঙামাটি লংগদু উপজেলার গুলশাখালি ইউনিয়নের সর্বসাধারণের উদ্যোগে মানব বন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় গুলশাখালি ইউনিয়নের জনসাধারণের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে তুমি কে আমি কে আছিয়া আছিয়া, সারা বাংলায় খবর দে দর্শকদের কবর দে, আমার বোনের কান্না আর না আর না, আমার সোনার বাংলা দর্শকদের ঠাঁই নাই, একটা একটা দর্শক ধর-ধরে ধরে জবাই কর, দিয়েছি তো রক্ত আরো দিবো রক্ত, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়।
উক্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামের ৩য় শ্রেণি পড়ুয়া ৮ বছরের শিশু আছিয়া রমজান ও ঈদের ছুটিতে বেড়াতে আসে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালি মাঠপাড়া গ্রামে আপন বড় বোনের বাড়িতে। সেখানেই বৃহস্পতিবার আপন বোনের শ্বশুর হিটু শেখ দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় অবুঝ শিশুটি আছিয়ার বড় বোনের ভাষ্য অনুযায়ী তার স্বামী সজিব হোসেনও জড়িত এই ধর্ষণ কাণ্ডে এমনকি সে নিজেই দরজা খুলে দিয়ে তার বাবাকে ঘরে ঢুকতে সাহায্য করেছে বলেও জানায় শিশুটির বড় বোন। এর আগে একাধিক বার তাকেও ধর্ষণের চেষ্টা করেছে শ্বশুর হিটু শেখ এমনটিও জানান তিনি। আপন বড় বোনের শ্বশুর আর স্বামীর দ্বারা এভাবে অবুঝ একটি শিশু ধর্ষণ হলে কিভাবে ছোট্ট মেয়ে শিশুদের নিরাপত্তা বজায় থাকে এমন প্রশ্নও রাখেন নেটিজেনরা। যাদের ঘরে মেয়ে শিশু রয়েছে এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেকে আবার সচেতন থাকার পরামর্শ ও দেন জনসাধারণের উদ্দেশ্য।
এ সময় উপস্থিত বক্তারা আরোও বলেন, বর্তমানে দেশে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েই চলছে। এমনকি ৮ বছরের আছিয়া ছোট্র শিশুটিও ধর্ষণ থেকে রেহাই পেল না। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রকাশ্যে ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানাই। নারী শিশুদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে হলে ধর্ষকদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
পরে শান্তি পূর্নভাবে সমাবেশটি সমাপ্তি হয়।
Leave a Reply