মোঃ মনির মন্ডল, সাভারঃ
কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজিব বলেছেন, ওনার (তামিম ইকবালের) ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন থেকে যতগুলো চিকিৎসা প্রয়োজন, সবগুলো করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে কন্ডিশনটা অনুকুলে আছে। ওনার একটা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এটার জন্য এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি এবং একটি স্টেন্ট করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুর ২ টার দিকে ঢাকার আশুলিয়ার কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। সেখানেই এসব তথ্য জানান ডা. রাজিব৷
মেডিকেল ডিরেক্টর আরও বলেন, আল্লাহর রহমতে স্টেন্টিংটা খুব স্মুথলি ও এফিশিয়েন্টলি হয়েছে। কার্ডিওলোজিস্ট ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ ওনার স্টেন্টিং করেছেন। ওনার ব্লকটা পুরোপুরি চলে গেছে এখন। উনি যেমন ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে ছিলেন, স্টেন্টিংয়ের পরেও উনি ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন এখনও কাটেনি, সময় লাগবে। ওনার জন্য আমরা সবাই প্রাণপণ চেষ্টা করছি। আপনারা ওনার জন্য দোয়া করবেন। আমরা আশাবাদী উনি ভালো হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।
এর আগে সকালে আশুলিয়ার বিকেএসপিতে খেলা চলাকালীন মাঠে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিক ইকবাল। অসুস্থতার তীব্রতা দেখে দ্রুতই বিকেএসপির নিকটস্থ কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় তামিমকে।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ডিপিএলের অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচ চলছিল মোহামেডানের। ফিল্ডিংয়ের সময় হঠাৎ বুকে ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন মোহামেডানের অধিনায়ক তামিম। চিকিৎসার জন্য একটি হেলিকপ্টারও বিকেএসপিতে আসে। কিন্তু হেলিকপ্টারে নেওয়ার অবস্থায় ছিলেন না বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক।
অসুস্থতার তীব্রতা দেখে দ্রুতই বিকেএসপির কাছাকাছি কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় তামিমকে। তার আগে বিকেএসপির মেডিকেল সেন্টারে তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের সিইও তৌফিক বিন ইসমাইল সহ বিসিবি ও বিকেএসপির উর্ধতন কর্মকর্তাগণ।
সবশেষে ডাক্তার রাজীব বলেন, বিকেএসপির ডাক্তারদের ধন্যবাদ জানাই ওনারা (তামিমের) সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করেছেন। ঢাকায় নিয়ে যাওয়াটা ব্যাপার না কিন্তু ওই সময়টা এটেন্ড করতে না পারলে কি হতো বলা আসলে মুশকিল।
Leave a Reply