নাসের আবু খালেদ, কুয়েত প্রতিনিধি:
বর্তমানে পরকীয়া একটা দীর্ঘ মেয়াদি কার্যক্রম হুট করে প্রথম দেখায় ভালবাসা হলেও, পরকীয়া কিন্তু হুট করে হয় না। যখন দেখবেন হায় হ্যালো থেকে আপনার প্রথমটা শুরু করে মধ্য রাত অব্দি চলে যাচ্চে, তখন আপনাকে বুঝতে হবে আপনি ভুল পথে আছেন । যখন দেখবেন দরকারের বাইরেই কাউকে অযথা নক দিচ্ছেন, কল দিচ্ছেন বা মনের মাঝে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে মনে পড়তে থাকে তখন আপনাকে বুঝতে হবে শয়তান আপনাকে পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে আপনার উপর ভর করেছে।
কিন্তু ভুল জানার পরেও ,বুঝার পরেও আপনি যখন সেটা প্রতিনিয়ত করবেন তখন সেটা কে ঠান্ডা মাথার সিদ্ধান্ত বলা যেতে পারে পরকীয়া যারা করে তারা ঠান্ডা মাথায় বুঝে শুনেই করে।
একজন সমাজ পরিবার তোয়াক্কা না করে পরকীয়া করে আবার অপর জন সমাজ এবং পরিবারের স্বার্থে সব জেনে বুঝেও মেনে নেয় তার মানে দায়ভার আপনাদের উভয়ের।
ফেসবুক কখনো পরকীয়া, ডিভোর্স সমাধানের প্ল্যাটফর্ম হতে পারে না কোন মিডিয়া নয়। ফেসবুকে মানুষ আপনাকে জাজ করবে, কয়েকদিন সমালোচনা করবে, আলোচনা করবে মিডিয়া প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাবে এবং নিজের সার্থকতায় তাঁরা লাভবান হতে বিষয়টাকে মুখরোচক হিসেবে দেখাবে এবং সমাজের মানুষ তা দেখবে একটা সময় পার হতেই যে যার মত ব্যস্ত হয়ে যাবে। আপনার জীবন আপনাকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে,তাই এই ধরনের বিষয় গুলা পরিবার কে সাথে নিয়ে সমাধান করুন বা করা উচিত।
চারদিকে যেভাবে পরকীয়া , চিটিং এসব হচ্ছে এতে করে নতুন প্রজন্ম এর ছেলে মেয়েদের বিয়ের ভীতি ঢুকে গেছে। এটার দায়ভার আমরা এড়াতে পারি না!এই নতুন প্রজন্ম এর ছেলে মেয়েরা বিশ্বাস করতে চেয়েও পারে না যে বিয়ে সবচেয়ে সুন্দরতম বিষয়, এর থেকে সুন্দর এবং পবিত্র কোন সম্পর্ক হতেই পারে না। কিন্তু এই সব পরকীয়া ,প্রতারণা করা এসবের জন্য তারা এখন বিয়েকে ভিন্নমতে দেখা শুরু করেছে।
তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ , পরকীয়ার মতন এতো নোংরা বিষয় নিয়ে ফেসবুকে না লিখে পারিবারিক এবং আইনী ভাবে সমাধানে আসুন।
ছেলে মেয়ে গুলা কে বুঝতে দিন, সবাই পরকীয়া করে না। সবাই এমন চরিত্রহীন/হীনা নয় .যারা এসবের বাইরে ,তারা বিবাহিত জীবনে অনেক বেশী ভালো আছে এবং নতুন প্রজন্মকে এটা সম্পর্কে সজাগ করে পরকীয়া থাবা থেকে বাঁচতে সচেতন করা সকলের দায়িত্ব। আসুন সুন্দর শৃঙ্খল একটি পরিবার,সমাজ,দেশ গড়তে সবাই সহযোগিতা করি।
Leave a Reply