মামুন রাফী, নোয়াখালী
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চরচেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় গভর্নিং বডি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে এলাকা বাসী ও অবিভাবকরা জেলা প্রশাসক ও আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিকট একটি অভিযোগ দেন।
জানা যায় মাদ্রাসা গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং হতে ০৭/ এপ্রিল ২০২৫ইং পর্যন্ত বন্ধ ছিল। অথচ: তার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ইং তারিখে স্বাক্ষরিত নির্বাচনী তফসিলে দেখা যায় নির্বাচনের কার্যক্রম ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ইং হতে ১৬ এপ্রিল ২০২৫ইং পর্যন্ত।
আরো জানা যায়, অধ্যক্ষ ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ইং তারিখে নোটিশ করে মাদ্রাসাটি বন্ধ ঘোষনা করেন। ০৮ এপ্রিল নির্বাচন বিষয়ে জানতে মাদ্রাসায় খোঁজ নিলে জানানো হয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ। নোটিশ বোর্ডে তফসিল ছেঁড়া অবস্থায় দেখা যায়। উপাধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কিছু জানেনা বলে জানিয়েছেন এবং রেজুলেশন লেখার বিষয়ে তিনি বলেন আমার থেকে সাদা রেজুলেশনে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। কমিটির বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয় নাই। কয়েকজন শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করলে তারা কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি পূণঃতফসিলের সুযোগ নাই বলে এড়িয়ে যান। মাদ্রাসা বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থী শিক্ষকগন তফসিলের বিষয়ে অবগত নয়।
কযেকজন অভিভাবক বলেন একজনের ছেলেকে ভুয়া ভর্তি দেখিয়ে প্রিন্সিপাল তাকে এই কমিটির অভিভাবক সদস্য করার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করলে স্থানীয়রা জানান – অধ্যক্ষ বন্ধের মধ্যে তফসিল জারি করেন। তফসিল প্রচার করার বিধান থাকলেও তিনি তা অভিভাবকদের জানানোর কোন ব্যাবস্থা নেন নাই। মাদ্রাসার ওয়েব সাইট, ফেসবুক পেইজ বা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ কোথাও বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়নি। তিনি পকেট কমিটি গঠনের জন্য গোপনীয়তা ও দুর্ণীতির আশ্রয় নেন। তাই উক্ত ঘটনার যথাযথ তদন্ত পূর্বক তফসিল বাতিল করে পূণঃতফসিল দিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে অভিভাবক সদস্য নির্বাচন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমরা এলাকাবাসী এবং অভিভাবকগণ একমত ।
ভাইস প্রিন্সিপাল ছালেহ উদ্দিন জানান, উল্লেখিত বিষয় টি স্বীকার করেন এবং তাকে ও এই বিষয়ে জানানো হয়নি বলে উল্লেখ করেন। এডহক কমিটির রেজুলেশনে তার স্বাক্ষরের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, অসুস্থ থাকায় আমি মিটিং এ যাইনি, রেজুলেশন লেখার আগেই সাদা কাগজে আমার স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত আমাকে জানানো হয়নি। তফসিল বা নোটিশ সম্পর্কে আমি জানিনা।
সহকারী অধ্যাপক সাহাব উদ্দিন জানান- মাদ্রাসা বন্ধ অবস্থায় এই কমিটির কার্যক্রম হয়েছে। তফসিল বা নোটিশ সম্পর্কে আমরা জানতাম না। অভিভাবক সদস্য নির্বাচনের ডেট শেষ হবার পর মাদ্রাসা খোলার তারিখে কিছু অভিভাবক থেকে জেনেছি।
এই বিষয়ে প্রিন্সিপাল আশিকুর রহমান জুবায়ের সাথে সাংবাদিক পরিচয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কল কেটে দেন।
Leave a Reply