শাওন আহাম্মেদ,শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:
শেরপুর জেলাজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত। আজ সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। চারদিকে ঘন কুয়াশায় ভর দুপুরেও সন্ধ্যার আবহ বিরাজ করে। দিনের বেলায়ও সড়কে হেডলাইন জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করে। সেই সাথে উত্তরের পাহাড় থেকে বয়ে আসছে ঠান্ডা বাতাস। ফলে কনকনে শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিকে এসে শেরপুরে এমন কুয়াশার দেখা মিললেও ঝলমলে রোদ ছিল। বিকেল থেকে রাতের তাপমাত্রা কম ছিল। তবে আজ সারাদিনই ছিল তীব্র শীত। শীতের এই তীব্রতায় চরম কষ্টকর হয়ে উঠেছে দিনমজুর ও কৃষকদের জন্য। তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। রোদ না ওঠায় শহরে মানুষের আনাগোনাও কমেছে। অনেকে ভিড় জমিয়েছেন পুরাতন কাপড়ের দোকানে।
সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রুগি। সকল থেকে সারাদিন কুয়াশা ঝড়তে দেখা গেছে, আকাশও রয়েছে মেঘলা। বিকেল পাঁচটার দিকে হালকা বৃষ্টি পড়া শুরু করে। আজকের রাতের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১৫ ডিগ্রিতে নেমে যাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী দুদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমে ১৩ ডিগ্রিতে নেমে যাওয়ায় সম্ভবনা রয়েছে। চলতি সপ্তাহের বাকি দিনগুলো আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এই মেঘলা ভাব কেটে গেলে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আরও কমবে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন চলছে আলু লাগানোর মৌসুম। সেইসাথে আমন ধান কাটা এবং সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা। শীত আরও বাড়লে কৃষকদের কৃষিকাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
Leave a Reply