মিথুন কর্মকার আমতলী বরগুনা প্রতিনিধিঃ
গ্রাম বাংলার চির ঐতিহ্যের নিদর্শন গ্রামীণ হাট বাজার। শনিবার (৪ জানুয়ারি) আমতলী পৌরসভা এবং আমতলী উপজেলার চুনাখালী বাজারসহ বেশকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় শীতকালীন শাক-সবজিতে ভরপুর হাট-বাজারগুলো।পৌষের শেষদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার বাজারগুলোতে বাড়ছে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ। দোকানিরাও এর পসরা সাজিয়ে বসছেন। এতে দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।চুনাখালী হাটের সবজি বিক্রেতা রুবেল বলেন, সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে কোনো কোনো শাক-সবজির দাম। সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমবে।
বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৩৫ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, মুলা ১৫ টাকা, আর প্রতি কেজি পেঁপে ২০ টাকা, গাজর ৩৫-৪০ টাকা, ক্ষিরাই ২৫ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, দেশি পাকা টমেটো ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, শিম ১৫ টাকা, শালগম ১৫ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়।এছাড়া, প্রতি কেজি ধনেপাতা ৪০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ২০ টাকা, পাতাসহ পেঁয়াজ ৩০, নতুন আলু ৪৫ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ১৫-২০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা।দাম কমেছে কাঁচা মরিচেরও। খুচরা পর্যায়ে এটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়। এছাড়া, বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পুঁইশাক ১৫-২০ টাকা, লাউশাক ২৫ টাকা।সবজির দাম কমতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ভোক্তাদের মধ্যে। তারা জানান, শাক-সবজির দাম কমায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।গুলিশাখালী ইউনিয়নের রফিক নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সবজির দাম অনেকটাই হাতের নাগালে চলে এসেছে। সবসময় বাজার এরকম থাকলেও কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যেত।
Leave a Reply