আবু নাসের মহিউদ্দিন, কুয়েত প্রতিনিধি:
তাহলে ২১ বছরের একটা মেয়ে টনি বিয়ে করছে ৮২ বছরের একজন বৃদ্ধকে। কেন বিয়ে করছে, এইটা বুঝতে হলে আমাকে আপনাকে বিজ্ঞানী হতে হবে না, নয় কোন চিন্তাবিদ।
স্বামীর শেষ সময়েও যে ব্যস্ত ছিল সাজগোজ করা হাতকাটা ব্রাউজ পরে থাকা, নিজের ঠোঁটের লিপস্টিক লাগানো কমে না। মাথায়ও কাপড় নাই, যে কারণে মেয়েটা এই বৃদ্ধলোককে বিয়ে করছে ওর সাজসজ্জা দেখে মোটামুটি বলতে পারেন মেয়েটা যে উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়েছে সে আজ সফল হয়েছে।
বাঙালী মায়েরা নিজের স্বামীর চলে যাওয়ার শোকে ৩/৪ দিন অব্দি মুখে ভাত নিতে পারে না। সারাদিন সারারাত শুধু স্বামীর জন্য কাঁদতে থাকে। স্বামীর সামান্য অসুস্থতায় নিজের মুখে ভাত নিতেও ভুলে যায়, আর স্বামীর শেষকৃত্যের সময় সারারাত স্বামীর কানের পাশে বসে দোয়া, দুরুদ আর কোরআন পার্ট করতে থাকে।
আমাদের মায়েরা হয়তো এতোটা শিক্ষিত না, সেকলে টাইপের। লেখাপড়াও ঠিকমতো জানে না, মাথায় বুদ্ধি সুদ্ধিও একদম নাই কিন্তু বাবাদের চলে যাওয়ার শোকে তারা কখনোই স্বাভাবিক জীবনে আসতে পারে না। মুখে লিপস্টিক আর মাথায় কাপড় না দিয়ে শপিং মলে ঘুরতে থাকে, স্বামীর শেষ সময়ে ভুলেও যায় স্বামীর আত্মা কষ্ট পাবে।
আমাদের মায়েরা কোনকালেই আধুনিক না হউক। এভাবে সারাজীবন অশিক্ষিত, আনস্মার্ট, সেকলে টাইপের থেকে যাক, অন্তত বাবাদের শেষ সময়ে তাদের আত্মাটুকু কষ্ট পাবে না। বাবারা শেষ সময়টা কাছে পাক সত্যিকারের ভালবাসার মানুষটা কে।
আমরা কেন আজ মানুষ নিজেদেরই সফলতার উচ্চতায় নিতে ব্যস্ত মানুষ হব কখন।
Leave a Reply