মোঃমোরছালিন, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:
অপসংস্কৃতি, মাদক, জুয়া, ইভটিজিং ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জয়পুরহাটের আমদই ইউনিয়নের মাধাইনগর হাইস্কুল মাঠে দিনব্যাপী ইসলামি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছে আবাবিল সাংস্কৃতিক সংসদ।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রভাষক আরিফুল ইসলাম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন আব্দুল ওয়াহেদ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জয়পুরহাট জেলা শাখার আমীর ডা. ফজলুর রহমান সাইদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাখার সেক্রেটারি জননেতা গোলাম কিবরিয়া, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হাসিবুল আলম লিটন, পাঁচবিবি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, পাঁচবিবি উপজেলার আমীর মাওলানা সুজাউল ইসলাম, জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি সাংবাদিক মাশরেকুল আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুসুম্বা ইউনিয়নের আমীর আবু ইউসুফ মোহাম্মাদ খলীলুর রহমান, আমদই ইউনিয়নের সেক্রেটারি নাহিদুল ইসলাম, আবাবিল সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি হাফেজ ইব্রাহিম বিন শরীফ, সেক্রেটারি সাংবাদিক আহসান হাবীব, অর্থ সম্পাদক লিটন সরকার, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ মোরছালিন সহ আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি।
অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে আগত সুনামধন্য ইসলামি সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সাইমুম’-এর মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে। জয়পুরহাটের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন “উদ্ভাবন” সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদও তাদের পরিবেশনা তুলে ধরে।
প্রধান অতিথি ডা. ফজলুর রহমান সাইদ বলেন, অপসংস্কৃতির প্রভাব আমাদের সমাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সুস্থ সংস্কৃতির চর্চার মাধ্যমে আমরা একটি উন্নত সমাজ গড়ে তুলতে পারি। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথি জননেতা গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমাদের তরুণ সমাজকে ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাদের মেধা ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে অপসংস্কৃতির পরিবর্তে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।
আবাবিল সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি হাফেজ ইব্রাহিম বিন শরীফ বলেন, আমাদের লক্ষ্য সমাজকে একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির দিকে নিয়ে যাওয়া। এ ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে আমরা সমাজে সচেতনতা তৈরি করতে চাই।
আবাবিল সাংস্কৃতিক সংসদের সেক্রেটারি আহসান হাবীব বলেন, এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা সমাজের বিভিন্ন অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে চাই। এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
এ ধরনের আয়োজনে দর্শক ও স্থানীয়দের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা ও প্রসারে মানুষের আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে।
Leave a Reply