রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর প্রভাবশালী সর্দারনী ঝুমুর বেগমকে (৪২) মাদকসহ ও তার স্বামী ইউপি সদস্য জলিল ফকিরকে (৪৪) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম।ওসি জানান, ঝুমুর বেগম দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর প্রভাবশালী সর্দারনী ছিলেন। তিনি ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত যৌনপল্লীর ভেতরে প্রভাব বিস্তার করে মাদকের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। রোববার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে যৌনপল্লী সংলগ্ন হোটেল নিরালা বোডিংয়ের সাত নম্বর কক্ষ থেকে একটি বিদেশি মদের বোতল ও দুটি রয়্যাল ডাচ বিয়ারসহ ঝুমুর বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম আরও জানান, গত ৪ আগস্ট গোয়ালন্দ রেলগেট এলাকায় আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে ১০ ডিসেম্বর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন শরিফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী। এতে ৫৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার আসামি ঝুমুর বেগমের স্বামী দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জলিল ফকিরকে শনিবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হোটেল নিরালা বোডিং থেকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঝুমুর বেগম বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন। হাবিবুর রহমানের ক্ষমতার প্রভাবে তিনি যৌনপল্লীতে প্রতিষ্ঠা করেন অসহায় নারী ঐক্য সংগঠন। এ সংগঠনের সভাপতি পদ ব্যবহার করে তিনি পল্লীর যৌনকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতেন। পরিচালনা করতেন মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আসর।
Leave a Reply