রামু (কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার পূর্ব ধেচুয়া পালং এলাকার এক নারী রাশেদা খানম ১৮ বছর আগে সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ায় তার আত্মীয়দের কাছ থেকে ৩১ শতক জমি ক্রয় করে মালিকানা লাভ করেন। দলিলনামা অনুযায়ী, তিনি ২০০৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর নং-১৭৫৭ রেজিস্ট্রির মাধ্যমে উক্ত জমির স্বত্বাধিকারী হন এবং নাদাবী পত্র অনুসারে দাতাগণ ৫৩,০০০/- (তিপ্পান্ন হাজার) টাকা গ্রহণপূর্বক সকল প্রকার দাবি-দাওয়া হতে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি দেন।
নাদাবী পত্রে জমি বিক্রেতারা হলেন—মাহমুদুল্লাহ, হাজী রকিম উল্লাহ, হাজী ওবাইদুল হক, মছন আলী, মাওলবী জহিরুল ইসলাম, নূর নাহার বেগম, জহুরা বেগম, লায়লা বেগম, তফুরা বেগম ও আয়েশা বেগম। তারা সবাই মৃত জমির আহমদ ও মৃত ছমন খাতুনের সন্তান। জমিটি তাদের মাতা ছমন খাতুন ১৯৮৮ সালে রামু সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে নিবন্ধনকৃত দলিলের মাধ্যমে ক্রয় করে মালিক হন। তার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারসূত্রে সন্তানরা মালিক হন এবং পরবর্তীতে রাশেদা খানমের নিকট বিক্রি করেন।
ভুক্তভোগী রাশেদা খানম জানান, দলিল অনুসারে তিনি গত ১৮ বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে জমিটি ভোগ দখলে রেখেছেন। কিন্তু সম্প্রতি দাতাদের মধ্যে কয়েকজন পূর্বের অঙ্গীকার অস্বীকার করে জোরপূর্বক জমির দখল নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং তৃতীয়পক্ষকে জমিটি বিক্রির পাঁয়তারা করছেন। এ ঘটনায় তিনি আতঙ্কিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমি আইন মেনে দলিল করে জমি কিনেছি। এত বছর পর এখন তারা জোর করে আমার জমি দখল করে অন্যের কাছে বিক্রি করছে। আমি ন্যায়বিচার চাই।”
স্থানীয়দের মতে, এই জমি সংক্রান্ত নাদাবীপত্র একটি পূর্ণাঙ্গ আইনি দলিল, যেখানে বিক্রেতারা সুস্পষ্টভাবে অর্থ গ্রহণ এবং মালিকানা হস্তান্তরের কথা স্বীকার করেছেন। এখন এই জমি নিয়ে আবার বিরোধ সৃষ্টি করা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অনৈতিক।
ভুক্তভোগী বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply