ফারিছ আহমেদ, হোসেনপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শহিদ উল্যা নামে এক ব্যক্তি জলাশয় থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শহর কসবা গ্রামে এলাকায় গিয়ে বালু উত্তোলন করতে দেখা যায়। বালু উত্তোলনের জন্য এলাকার স্থানীয় মাটির রাস্তা কেটে পাইপ নেওয়ায় এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বালু উত্তোলন বন্ধে মো. রায়হান নামে এক ব্যক্তি সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পরে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে লোক গিয়ে অভিযুক্ত শহিদকে বালু উত্তোলনের জন্য নিষেধ করেন। এতে করেও বালু উত্তোলন বন্ধ করেননি বালু উত্তোলন কারিরা।
অভিযোগ ওঠে, এলাকার একটি বড় জলাশয় থেকে প্রায় প্রতি বছরই বালু উত্তোলন করে আসছেন শহিদ। নেছার মিয়া নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তিও ওই ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করেন। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বালু উত্তোলনে আশপাশের কয়েকশ’ পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। এছাড়া শহর কসবা গ্রাম থেকে লক্ষ্মীপুর যাওয়ার একমাত্র মাটির চওড়া রাস্তাটিও ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বালু উত্তোলনে নিষেধ করলেও শহিদ তাতে কর্ণপাত করেন না। উল্টো বাধা দিলে সবাইকে হুমকি-ধামকি দেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জহির বলেন, বালু উত্তোলনে আমরা বাধা দিয়েছি। বালু উত্তোলনের কারণে আশপাশের প্রায় ৩০ মিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ঘটনাটি নিয়ে আমরা সোচ্চার। এরপরও শহিদ অনুরোধ করে বলেন, তার মেয়েকে বাড়ি করে দেওয়ার জন্য বালু উঠিয়ে একটি জমি ভরাট করবেন। এজন্য পরে আর বাধা দিইনি। স্থানীয় তহশিলদার এসেও বিষয়টি দেখে গেছেন।
অভিযুক্ত শহিদ উল্যা বলেন, জলাশয়ের চারপাশে ভাঙনরোধে দেওয়াল (প্যালাসাইটিং) করা হয়েছে। দেওয়ালগুলো না ভাঙলে মানুষের কোনো ক্ষতি হবে না। আমি মাছ চাষ করবো। জলাশয়টি যেন গভীর হয়, সে জন্য একজনে বালু নিচ্ছেন। এতে জলাশয়ে মাছ চাষের উপযোগী হবে।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভি দাশ বলেন, লোক পাঠিয়ে একবার বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছিল। ফের উত্তোলনের বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফারিছ আহমদ হোসেনপুর উপজেলা প্রতিনিধি।
Leave a Reply